বাংলাদেশ আমার অন্যতম পছন্দের দল - বলেছেন হার্শা ভোগলে

বাংলাদেশ! আমার অন্যতম পছন্দের দল। সাকিব আল হাসানকে খেলতে দেখতে ভালোবাসি। মাঠের বাইরে হয়তো একটু মেজাজি। কিন্তু মাঠের ভেতর নিখুঁত। বাংলাদেশ যদি (এই বিশ্বকাপে) এগিয়ে যেতে চায়, তাহলে সাকিব আল হাসানের চেয়ে বেশি কিছু লাগবে। গত বিশ্বকাপে সে ৬০০ রান করেছিল, বাংলাদেশও হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছিল। তাহলে (এবার) আর কার কার ওপর নজর রাখা যায়? আমি লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের বড় ভক্ত। কিন্তু আরও দুজন আছেন, যাঁরা দুর্দান্ত...

কথাগুলো ভারতের খ্যাতিমান ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক হার্শা ভোগলের। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’–এর ভিডিওতে বিশ্বকাপের বিভিন্ন দল নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন ভোগলে। তাঁরই একটি ভিডিওতে এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি দল থেকে দুজন খেলোয়াড় বাছাই করেছেন, যাঁদের ওপর নজর রাখতে হবে।

নিজের পছন্দের প্রতিটি দল থেকে দুজন খেলোয়াড় বেছে নেওয়ার পেছনে ভোগলে একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘দলের সেরা দুই খেলোয়াড়কে আমি বাছাই করব না। পরিসংখ্যানই তাদের হয়ে কথা বলবে। আমি তাদের বেছে নিতে চাই, দলের লক্ষ্য অর্জনে যাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বলার মতো অবদান দীর্ঘ মেয়াদে খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, এমন খেলোয়াড়দের আমি বেছে নিতে চাই।

বাংলাদেশ দল থেকে নাজমুল হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজকে বেছে নিয়েছেন হার্শা। এ দুই খেলোয়াড়ের ওপর নজর রাখার কথা বলেছেন তিনি। নাজমুলের কথা বলতে গিয়ে হার্শা বলেন, ‘ক্রিকেট–বিশ্বে সবাই শান্ততে (নাজমুলে) মুগ্ধ। ওপেনিংয়ে কিংবা তিনে খেলায় সে নিজের সামর্থ্য ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছে। এমন নয় যে সে হঠাৎ করেই আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিভার স্ফুরণ ঘটিয়ে অকালে ঝরে যাওয়া খেলোয়াড়দের মতো নয়, সে ধীরে ধীরে বড় কিছু হয়ে উঠেছে। মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ওপর থেকে সে চাপ কমাতে পারলে দলের জন্যই ভালো হবে।’

রান–খরার জন্য একসময় তীব্র সমালোচিত হওয়া নাজমুল এ বছর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন (১৫ ম্যাচে ৬৯৮)। বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন। তার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেন ৮৯ রানের ইনিংস। চোট থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে অধিনায়ক হয়ে ফেরার পর সে ম্যাচেও ৭৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন নাজমুল। বাংলাদেশের টপ অর্ডারে বিশেষ করে তিনে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

নাজমুলের কথা বলার পর স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজকে নিয়ে হার্শা বলেন, ‘টেস্টে আমি প্রথম তার বোলিং দেখেছি। সে টেস্টের জন্য যথাযথ অফ স্পিনার। এরপর বছরের পর বছর ধরে সাদা বলে তার পরিসংখ্যান দেখেছি, মাঝেমধ্যে সে ইনিংস উদ্বোধনও করে আবার অবিশ্বাস্য কিছু ইনিংসও খেলেছে। সাত–আটে থেকে ম্যাচ জেতানো কিংবা দলকে বিপদ থেকে সে উদ্ধার করতে পারে। আমার মনে হয়, মেহেদী হাসানের মধ্যে পরবর্তী সাকিব আল হাসান হওয়ার সব গুণাগুণই রয়েছে। আমি জানি না সে পারবে কি না, তবে মেহেদী হাসানকে পাওয়া বাংলাদেশের জন্য খুবই স্বস্তির।’

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের ৬ বছরের পথচলায় ধীরে ধীরে বাংলাদেশ দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছেন মিরাজ। নতুন কিংবা পুরোনো বলে বোলিংয়ে রান আটকানো থেকে উইকেট এনে দেওয়া এবং ব্যাট হাতে এক থেকে সাত–আট পর্যন্ত যেকোনো পজিশনে ব্যাট করার সামর্থ্য রাখায় দ্রুতই ভরসার নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। এর সঙ্গে দুর্দান্ত ফিল্ডিংটা বোনাস। বিশ্বকাপে এই দুই তারকা কী করেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

সুত্র : প্রথম আলো

Post a Comment

Previous Post Next Post