এই ক্ষেত্রে কি করে পয়েন্ট অফ ভিউ চেঞ্জ টাকে আমরা কাজে লাগাবো। এই থিয়রিটিটাকে কিভাবে কাজে লাগাবো। প্রথমতো জানতে হবে What is sex. খুব ক্লিয়ার খুব পানির মতো স্বচ্ছ একটা আইডিয়া রাখতে হবে। এবং হোয়াট ইজ সেক্স এটার পানির মতো স্বচ্ছ আইডিইয়া কী? একই যেরকম ভাবে তোমার বাথরুম পেলে তুমি বাথরুম যাও। ঠিক যেরকম ভাবে তোমার খিদে পেলে তুমি খাও এমন সেক্স একটা শারীরিক কার্যকলাপ। আর কিছু না এটা একদম পানির মতো স্বচ্ছ একটা কনসেপ্ট যেটা তোমার বেঁচে থাকবার জন্য একটা বেসিক নিড খাদ্যের মতোই। এবার নিড যখন বললাম তাহলে নিড থেকে আর একটা কথা আছে সেটা কি নিড আর ওয়ান্ট মধ্যে ডিফারেন্স। নিড কি জিনিস তোমার বেঁচে থাকবার জন্য যে জিনিস টা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে তোমার নিড। আর ওয়ান্ট কি জিনিস তুমি দিব্যি বেঁচে আছো তাও তুমি তোমার বেঁচে থাকাটাকে আরো রঙিন করতে চাও তখন তুমি যেই জিনিস গুলো চাইছো সেগুলো হচ্ছে তোমার ওয়ান্ট।
মানে নিড ছাড়া তুমিবেঁচে থাকতে পারবে না। বাট ওয়ান্ট ছাড়া কিন্তু তুমি বেঁচে থাকতে পারো। তো মানুষের মধ্যে যখন এই কনসেপ্টটা ক্লিয়ার থাকেনা যে সিক্স ইজ এ নিড এ্যান্ড ইট ইজ নট মাই ওয়ান্ট। তখন এই ধরনের সমস্যা আমাদের সমাজে বাড়ে। একজন মানুষ যে আমি তার নিজের self-satisfaction এর জন্য নিজেকে এক্সপ্লোর করবার জন্য আমি অন্য একজনকে ব্যবহার করতেই পারি। আমি অন্য একজনের মন নিয়ে খেলতে পারি আমি তার সাথে ৫ দিন একটা সম্পর্ক রেখে কয়েকমাস একটা সম্পর্ক রেখে আমি তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যেতেই পারি। আমার নিজেরতো self-satisfaction হয়ে গেলো। এটার মেন প্রবলেমটা এই বেসিক শিক্ষাটা তে যে এটা নিড ওয়ান্ট নয়। তাই জন্যই অনেক মেসেজ আসে যায় অনেকের কাছে সেন্ড মি নুড পিকচারস। এ ধরনের এসএমএস এখনো পর্যন্ত টাইমলাইন টাইমলাইন ইনবক্স ইনবক্স ঘুরে বেড়ায়। বুঝতে পেরেছো বেসিক প্রবলেমটা কোথায়?
বেসিক প্রবলেমতা সোশাইটি লেভেলে শিক্ষার লেভেলের। এই প্রবলেমের সলিউশন টা কোথায় সেকেন্ড সলিউশন টা হচ্ছে আমাদের সোসাইটি এবং আমাদের সোসাইটি কিভাবে এই বিষয়টাকে দেখছে যদি আমরা ছোটবেলা থেকে একটূ সেক্স এডুকেশন আমাদের পড়ানো হতো আমাদের যদি ছোটবেলা থেকে পড়ানো হতো যে। কোনটা গুড টাচ কোনটা ব্যাড টাচ। তাহলে আমাদের দেশে এত রেপ হতো না। তাহলে আমাদের দেশে নিজের অজান্তেই এত মেয়ে ছোটবেলায় তার বড়দের কাছে রেপ হতে হতো না তাকে। এরকম ঘটনা আমাদের সমাজে অনেক। এটা সমাজের একটা অন্ধকার দিক। যে জিনিসটাকে নিয়ে লোকে কথা বলতে চায় না যে জিনিসটাকে লোকে এড়িয়ে যেতে চাই। খালি নিউজ পেপারে হেডলাইন হয় । খেয়াল করে দেখবে আমাদের সোসাইটিতে এই বিষয়টাকে নিয়ে কথা বললেই সবাই কেমন একটা মুখ ছিটকে বেরিয়ে যায় সবাই কেমন একটা থাক থাক এসব আলোচনা বন্ধ কর। হ্যা এই ব্যাপার টা নিয়ে কথা বলতে আমরা অদ্ভুত ব্যবহার করে থাকি। ঐ যে বললাম বেসিক সমস্যা শিক্ষায়। এটা একটা সিম্পল জিনিস মানুষের বেচে থাকার জন্য। এই ব্যাপারটাকে বুঝতে হবে। একটা বাচ্চার সামনে একটা গোটা সোশাল মিডিয়া খোলা। আরে ভাই তোমার সামনে সোশ্যাল মিডিয়াতে সমস্ত নোংরামী রয়েছে সেখানে বাচ্চার সামনে যখন খোলা সেতো স্ক্রল করতে করতে সবকিছু। ভালো জিনিস গান শুনছে যেমন তেমন সে একটা নোংরা জিনিস দেখছে তাইনা। যখন ফ্যামিলির সাথে সে টিভি দেখতে বসছে ছিনেমা দেখতে বসছে হিন্দি সিনেমাতে কী কোনো ধরনের সেক্সুয়াল সিন থাকে না? এগুলো কেউ দেখছে না আমরা জানি সবাই। সবাই আমরা জানি যে সবাই সবকিছু জানে না কিন্তু আমরা ভান্ডামী করি কী রকম যে আমরা কেউ কিছু জানিনা। তোমার সামনে দাঁড়িয়ে একজন কন্টিনিউ তোমাকে মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছ তুমি সত্যিটা জানো কেমন একটা সিচুয়েশন ক্রিয়েট হবে তুমি বলতো।
এটা নয় যে খুল্লাম খুল্লা ব্যাপারটা চলবে। মানে ব্যাপারটা হচ্ছে যে ব্রড মেন্টালিটি নিয়ে ভাবতে হবে। ওপেন মাইন্ডে থাকতে যেই জিনিসটা নেচারাল সেটাকে নেচারাল ভাবে জানতে হবে। তাহলে অনেক ধরনের প্রবলেম সমাজ থেকে চলে এবং এই ন্যারাল ভাববে কী করে সমাজ। আমরা প্রত্যেকে যখন ন্যাচারাল ভাবে ভাবতে শুরু করবো। তখন সমাজ ব্রড মেন্টালিটি নিয়ে ভাবতে শুরু করবে। তাছাড়া পারবে না। কোনদিনও হবে না।
থার্ড প্রবলেমের সলিউশন টা কি থার্ড সলিউশন টা হচ্ছে রেসপন্স। একজন মানুষ যখন কিছুদিনের সম্পর্কে তাকে যখন ইউজ করছে। ফিজিক্যালি তার সাথে সম্পর্কে যেতে চেষ্টা করছে একজন মানুষকে তো এক বছরে চেনাই যায় না। উল্টো দিকের মানুষ টার সাথে হ্যা মিলিয়ে তালে তাল মিলিয়ে চলে গেল তাহলে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার এবার হ্যাঁ ধোর ব্যাপারটা এমন হল যে দুটো মানুষ দুটো মানুষের মধ্যে সম্মতি আছে একজন মানুষ বলছে হ্যা আমার জাস্ট এইটুকুনি চাই অন্য একজন মানুষ বলছে জাস্ট এইটুকু নিয়ে যাই তখন ব্যাপারটা অন্যরকম। তখন ব্যাপারটা তাদের দুজনের ব্যাপার । এডাল্ট মানুষ তাদের ব্যাপার তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার । সেটা তো আমাদের কারো কিছু বলার নেই। আমরা কেনই বা বলব তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার সেগুলো । কিন্তু আমার বক্তব্য যখন একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের ইমোশন কে নিয়ে খেলছে ইউজ করে ছেড়ে দিচ্ছে। এই পুরো ভিডিওটাই তার উপর ছিল ক্লিয়ার। তাহলে এক নম্বর পয়েন্ট অফ ভিউ চেঞ্জ। দুই নম্বর সোসাইটিকে আরো ব্রড মাইন্ডেড হতে হবে এবং তিন নম্বর রেসপন্স বুঝে করতে হবে। এক মাসের সম্পর্কে যদি তোমাকে বলে দিল সে তোমাকে ভালোবাসে তোমার সাথে ফিজিক্যাল হতে হয়ে গেলে। এখন ছেড়ে চলে গেল তুমি তখন দুঃখ পেলে এগুলো করলে হবেনা। তোমাকে একটা ডিসিশনে আসতে হবে আমি যাবে না মানে যাবে না। আর তুমি যদি চাও যে আমি যাবো চলে যাবো। পরে গিয়ে আর কিছু করতে পারবে না সেখানে সেটা নিয়ে। এই হচ্ছে ব্যাপার। এই হচ্ছে প্রবলেম সলিউশন
আল্লাহ হাফেজ।
Post a Comment