প্রকিৃতভাবে আরো ভালভাবে ঘুমানোর কার্যকরী টিপস bd health TIps

প্রকিৃতভাবে আরো ভালভাবে ঘুমানোর কার্যকরী টিপস

স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ভালো ঘুমের খুব প্রয়োজন। সারাদিন পরিশ্রমের পরে দিনশেষে একটা ফ্রেস ঘুমের ফলে ক্লান্ত শরীর ও মস্তিষ্কটা আবার নতুন করে আগের মতো শক্তি নিয়ে সকাল বেলা জাগ্রত হয়। এরফলে আমরা আবার কাজ করার জন্য মুড ও এনার্জি পাই, কিন্তু যদি ঘুমটা ভালো না হয় তাহলে নানারকম সমস্যা হয় এবং স্বাস্থ্যের জন্যেও খুবই ক্ষতিকর। ভালো ঘুমের জন্য ৭ টিপস শেয়ার করা হলো এই পোস্টে যেগুলো পর



১। শোবার ঘরটিকে পরিছন্ন রাখুন


শোবার ঘরটি যদি অপরিছিন্ন হয় তাহলে আপনার মাইন্ডের উপরে নেগেটিভ প্রভাব ফেলবে যারফলে আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে। শোবার ঘরটি সবসময় পরিস্কার পরিছন্ন ও গুছিয়ে রাখুন। সম্ভব হলে শোবার ঘরে কিছু সবুজ দৃশ্যের ছবি রাখুন দেয়ালের সাথে, এতে আপনি শোবার ঘরে প্রবেশের পরেই ভালো একটা অনুভূতি টের পাবেন। এই অনুভুতিটা ভালো ঘুমের জন্য খুবই প্রয়োজন।



২। ঘুমানোর পূর্বে ফোন, টিভি, কম্পিউটার থেকে দুরে থাকুন


ঘুমানোর পুর্বে একটু মুভি, গান, নাটক না দেখলে হয়ই না তাই কেউ ফোন বা কেউ টিভি, কম্পিউটার দিয়ে মুভি বা গান দেখার পরে ঘুমাতে যায় বিছানায়। ঘুমানোর পূর্বে ফোন, কম্পিউটার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারন কম্পিউটারের, টিভির, ফোনের ব্রাইটনেসের আলোর কারনে অনিদ্রা জনিত সমস্যা হতে পারে। তাই ঘুমানোর ১ ঘন্টা আগে এসব থেকে দূরে থাকুন।



৩। ঘুমানোর ১ ঘন্টা পূর্বে বই পড়ুন


আপনি যদি ভালোভাবে ঘুমাতে চান কিংবা চোখে যেনো তাড়াতাড়ি ঘুম আনতে চান তাহলে বই পড়ার চেয়ে ভালো কোনো পদ্ধতি আমার জানা নেই। আপনি যদি একটু খেয়াল করেন যে টিচাররা ঘুমানোর পূর্বে কি করে তাহলে দেখতে পাবেন তারা একটি বই খুলে পাচ – দশ মিনিট পড়ার পড়েই বইটা সাইডে রেখে নাক ডাকা শুরু করে দেন মানে ঘুমিয়ে পড়েন।

হয়তো বলতে পারেন যে তাড়া শিক্ষক তাদের বইয়ের সাথে খুবই ভালো একটি সম্পর্ক তাই তারা ঘুমানোর পূর্বে বই পড়েন তাহলে এটি বলা হবে বোকামী। কারন তারা জানে বই পড়ার ফলে খুব শিগ্রই চোখে ঘুম চলে আসে , যার ফলে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া যায়। আমি অনেক লোককে দেখেছি যে ঘুমের একটু আগেই কিছুটা সময় বই পড়েন এবং চোখ দুটো ঘুমে টুইটম্বর হয়ে ঘুমিয়ে যান, তাই আমি নিজেও এটি পরিক্ষা করে দেখলাম।


আমার পরিক্ষার রেজাল্ট খুবই চমৎকার ছিলো কারন যেখানে আমি বিছানায় শোবার ১ ঘন্টা পরে চোখে ঘুম আসতো; সেখানে ৫-১০ মিনিট বই পড়ার পড়েই খুব তাড়াতাড়ি ঘুম এসে গেল এবং সেদিনের ঘুমটি ও খুব ভালো হয়েছিলো। সেইদিনের পর থেকে আমি প্রতিদিন ই এই টিপস ফলো করে সুন্দর একটা ঘুম উপভোগ করি।


৪। লাইট বন্ধ করুন

অনেকেই রয়েছেন রাতের বেলায় বাতি জ্বালিয়ে ঘুমান, কিন্তু এটি খুবই বদঅভ্যাস। রুমের ভিতরে যদি আলো থাকে তাহলে চোখে ঘুম আসতে সমস্যা হবে এটাই স্বাভাবিক এবং একবার ঘুম ভাঙলে আবার পুনরায় ঘুম আসতেও দেরি হবে। সব মিলিয়ে রুমের ভিতরে লাইট জ্বালিয়ে ঘুমানোটা ভালো অভ্যাস নয় এবং সাস্থ্যর জন্যে ও ক্ষতিকর। যদি ফ্রেস একটি ঘুম চান তাহলে ঘুমানোর আগে বাতি নিভিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ুন।


৫। মোবাইল, কম্পিউটার বিছানা থেকে দূরে রাখুন

আমাদের জীবনে ফোনের বা কম্পিউটারের নোটিফিকেশনকে খুবই বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফেসবুক একাউন্ট নোটিফিকেশন, জিমেইলে নতুন মেইল আসলো কিনা, ফোনে কোনো মেসেজ আসলো কিনা এগুলো চেক করে ঘুমাতে যাই এবং সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই আগে এগুলো চেক করি; এভাবেই কাটে আমাদের জীবন।


আবার কখনো কখনো আমরা ফোনে বা কম্পিউটারে নেট কানেকশন অন রেখে ঘুমাতে বিছানায় যাই তখন দেখা যায় যেকোনো একটা নোটিফিকেশন আসলো আর তখনই চোখে একটু ঘুম ঘুম ভাব আসলো কিন্তু কানে নোটিফিকেশন আসার আওয়াজ যাওয়া মাত্র লাফ দিয়ে উঠে বসে পড়লেন নোটিফিকেশন চেক করার জন্য। মোবাইলের সাধারণ মেসেজ আসলেও আপনার ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে তাই ঘুমানোর পূর্বে এগুলো একটু দূরে রেখে ঘুমাতে বিছানায় যাওয়াই ভালো, এতে ঘুমানোর কোনো ডিসটার্ব হবেনা।


৬। পজিটিভ কল্পনা

ভালো একটি ঘুমের জন্য পজিটিভ কল্পনার মতো আর কিছুই হয়না। আপনার সাথে যে সবসময় বই থাকবে এমন কথা নয়। আপনার সাথে যখন বই থাকবেনা তখন এই টিপসটি কাজে লাগাতে পারেন বা আপনার যদি বই পড়তে ইচ্ছে না করে তাহলে বা বই পড়ে কাজে আসছেনা তখনও এটি করতে পারেন।

প্রতিটি মানুষের জীবনেই একটা সোনালী দিন আসে, প্রতিটি মানুষের জীবনেই একটা বিপরীত লিঙ্গের মানুষ আসে কিন্তু কারো সেটা ধরে রাখার ভাগ্যে হয় আবার কারো হয়না যাইহোক আমি পুরোনো ব্যাড স্মৃতি আপনাকে স্মরণ করাতে চাচ্ছিনা। আপনি যদি সুন্দর একটা ঘুম দিতে চান তাহলে সবশেষে এই কাজটি করতে পারেন। বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে ভাবুন বা কল্পনা করুন আপনার সেই প্রিয় মানুষটির সাথে আপনি সবুজ ঘাসের উপর দিয়ে হাটছেন আর মৃদু বাতাস বইছে, আপনারা গল্প করতেছেন বা আকাশের মেঘের উপর দিয়ে হাটছেন দুজনে এবং খুব আনন্দ কাটাচ্ছেন। এই ধরনের পজিটিভ কিছু কল্পনা করতে থাকুন দেখবেন খুব শিগ্রই ঘুম চলে আসবে আপনার চোখে এবং খুব ভালো ঘুম হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post