ফ্রিল্যান্সিং মূলত অন্যের অধীনে কাজ করা। যারা সেটা না করে নিজে কিছু করতে চান তাদের জন্য ভাল একটি অপশন হল নিজের একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি।
নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করা এখন আর আহামরি কঠিন কাজ নয়! ওয়েবসাইট হতে পারে অনেক কিছু নিয়ে। কোন বিষয়গুলোতে আপনি এক্সপার্ট সেগুলো নিয়েই ওয়েবসাইট তৈরি করুন। এটা হতে পারে লেখালেখির কিংবা বিজনেস ওয়েবসাইট। কিভাবে বানাবেন কি নিয়ে বানাবেন তার পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা নিয়ে ইউটিউবেও অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন। সেগুলো দেখে একটি মোটামুটি মানের ওয়েবসাইট আপনি বানিয়ে নিতে পারবেন। আর যদি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে ডেভেলপার দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন অথবা নিজেই একটি ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের কোর্স করে শিখে ফেলতে পারেন প্রফেশনাল কাজ।
আপনার ওয়েবসাইট এ যখন প্রচুর দর্শক বা পাঠক আসবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স কিংবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এগুলো নিয়ে পরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা দর্শক যত বেশি হবে, আপনার আয় ও তত বেশি হবে।
৩. ইউটিউবিং
লেখালেখিতে যারা উৎসাহ বোধ করেন না, কিন্তু ক্যামেরা নিয়ে কাজ করতে ভালবাসেন অথবা ভিডিও সম্পাদনায় পারদর্শী তারা আয় করার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে পারেন ইউটিউব কে। ইউটিউব চ্যানেলে নিত্যনতুন আইডিয়া নিয়ে ভিডিও বানিয়ে এখন অনেকেই লাখ টাকাও আয় করছেন। তবে ব্লগিং এর মত এক্ষেত্রেও মাথায় রাখতে হবে, কোন বিষয়ে মানুষ ভিডিও দেখতে চায়, কিংবা কি দেখালে আপনি দর্শক ধরে রাখতে পারবেন। সেরকম বিষয় খুঁজে নিয়ে তার উপর ভাল মানের সৃজনশীল ভিডিও বানাতে হবে। তাহলে খুব দ্রতই আপনার ইউটিউব চ্যানেল দর্শকপ্রিয় হবে আর আপনি আয় শুরু করতে পারবেন। সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা, ভিডিও দেখার সময় ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে প্রতি হাজার "ভিউ" হিসেবে গুগল আপনাকে অর্থ প্রদান করবে।
এছাড়া ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়ের উৎস হিসেবে আপনি গুগল এডসেন্স বা মনিটাইজেশন বা এফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যাবহার করতে পারেন। এছাড়া আপনার চ্যানেল জনপ্রিয় হলে বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে স্পন্সরশিপ অফার করতে পারে, যেটা হতে পারে আয়ের বড় উৎস।
৪. অনলাইন ব্যবসা করে ইনকাম
বর্তমানে ঘরে বসে লাখপতি হওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো অনলাইন ব্যবসা। আপনার হাতে কিছু পুঁজি ও একটি স্মার্টফোন থাকলেই ব্যবসায় নেমে যেতে পারেন। অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক বেশি পুঁজির ও প্রয়োজন হয়না অনেক ক্ষেত্রে। প্রয়োজন যুগোপযোগী ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের সঠিক কর্মপন্থা। অনেকেই এখন হুটহাট করে ব্যবসা শুরু করে দিচ্ছেন ঠিকই , কিন্তু সমন্বয়ের অভাবে টিকে থাকতে পারছেন না। সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করে ধৈর্য সহকারে লেগে থাকতে পারলেই কেবল ব্যবসায় সফল হওয়া সম্ভব।
৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও মূলত ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে আয়ের একটি মাধ্যম। আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের Affiliate Marketing Program এ যুক্ত হলে সেই প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপন তাদের দেওয়া লিংক এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে যুক্ত করতে পারবেন। সেই লিংকে ক্লিক করে যদি কেউ কোন পণ্য কিনে, তাহলে আপনি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন। কমিশনের পরিমাণ এক এক কোম্পানির এক এক রকম। সেটা ৩% থেকে ২০% পর্যন্ত ও হতে পারে। যত বেশি ক্রেতা আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে পাঠাবেন, আপনার আয় তত বেশি হবে।
বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি ব্লগ বা ওয়েবসাইট ছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুযোগ দিচ্ছে। আপনি নিজের ফেসবুক পেজ বা পার্সোনাল একাউন্ট দিয়েও এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। পণ্য যে কোন ভাবে (কোম্পানির পলিসির মধ্যে) বিক্রি করতে পারলেই আপনাকে কমিশন দেওয়া হবে।
আশার ব্যাপার হলো, এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য এখন আর বেশি দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের বেশ কিছু কোম্পানি এখন এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম চালু করেছে। যেমন: Daraz, BdShop, Bohubrihi Online Course ইত্যাদি।
৬. গ্রাফিকস ডিজাইন করে ইনকাম
সৃজনশীল চিন্তাধারার ব্যাক্তিদের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন খুব ভাল প্ল্যাটফর্ম। হাতে একটি ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে বিভিন্ন মার্কেট প্লেস থেকে আয় করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারেন। দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা মার্কেটপ্লেসগুলোতে তাদের করা ডিজাইন দিয়ে রাখেন, যেখান থেকে তাদের আয় হয়। একই ডিজাইন অনেকবার বিক্রি হয়, এতে করে তারা একটি ভাল ডিজাইন দিয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় করতে পারেন। তাছাড়া অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিক্স এর কাজ বিক্রয় করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
৭. কনটেন্ট রাইটিং করে ইনকাম
নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগে লেখালখি ছাড়াও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ও কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে আয় করার সুযোগ আছে যদি না আপনার লেখালেখির হাত ভাল থাকে। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে লেখালেখি করে আয় করার এখন অনেক বেশি সুযোগ আছে। ইংরেজি ভাষার আর্টিকেল এর চাহিদা তুঙ্গে হলেও এখন বাংলা কন্টেন্ট এর ও বাজারে চাহিদা তৈরি হচ্ছে। তাই আপনি সাবলীল লেখার ভঙ্গি রপ্ত করতে পারলেই এই খাত থেকে আয় করতে পারবেন। ক্লায়েন্ট এর চাহিদা ও নিয়মকানুন মেনে নির্দিষ্ট সাইজের কন্টেন্ট লিখে দিলে, আপনার লেখার মান ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে ক্লায়েন্ট আপনাকে বেতন প্রদান করবে। লেখার বিষয়বস্তু ক্লায়েন্টই নির্ধারণ করে দেয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে।
৮. ওয়েব ডিজাইন করে ইনকাম
অনলাইনের কাজের ক্ষেত্রে ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন কাজের মধ্যে একটি হলো ওয়েব ডিজাইনিং। আয়ের পরিমাণ ও তুলনামূকভাবে বেশি। একটি প্রজেক্ট এ ২০,০০০থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। প্রায় সকল কোম্পানির ই ওয়েবসাইট থাকে এই সময়ে। এসকল ওয়েবসাইট তারা ওয়েব ডিজাইনার এর মাধ্যমেই ডিজাইন করিয়ে থাকেন। তাছাড়া এসব ওয়েবসাইট এর পরবর্তী আপডেট(হালনাগাদ) করার কাজেও ওয়েব ডিজাইনার এর সাহায্য প্রয়োজন হয়। তাই ওয়েব ডিজাইনারদের কাজের অভাব হয় না। তবে ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে কোডিং ও ডিজাইনিং দুটোতেই দক্ষ হতে হবে। ভাল মানের ওয়েবসাইট বানাতে পারলে আয় ও অনেক বেশি করতে পারবেন।
৯. ডেটা এন্ট্রি করে ইনকাম
কপি টাইপিং এর মতই আরেকটি সহজ অনলাইন জব হলো ডাটা এন্ট্রি। যদিও সহজ কাজে আয় ও তুলনামূলক কম হয়, তবে ছাত্রছাত্রী বা চাকুরীজীবীদের পড়াশুনা ও চাকরির পাশাপাশি কিছু বাড়তি আয়ের মাধ্যম হিসেবে এটি অবশ্যই ভাল। ইন্টারনেট অটোমেশন এর কারণে অবশ্য এই কাজের চাহিদা একটু কমেছে। তবে দক্ষতা থাকলে আপনি অবশ্যই প্রতিযোগিতার মাঝেও কাজ পাবেন। কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে ও টাইপিং স্পীড ভাল হলে আপনি এ কাজটি সহজেই করতে পারবেন।
১০. প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে ইনকাম
ইংরেজি, ফিজিক্স, বায়োলজি বা গণিতের মত বিষয়ে পারদর্শিতা থাকলে আপনি অনলাইনে এ সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর প্রদানের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান দিতে পারেন। এই উত্তরগুলো যদি সঠিক ও যথার্থ হয়, তাহলে অনলাইনের কিছু কোম্পানি আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তাদের সাইটে জয়েন করার জন্য। পরবর্তীতে আপনি তাদের জন্য কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে একটু বুদ্ধির প্রয়োগ করতেই হবে আপনাকে। মেধাবী ও চালাক ব্যাক্তিরাই কেবল এ পন্থায় উপার্জন করতে পারে।
১১. ক্যাপচা সলভ করে আয়
আপনার যদি হাতে আরও বেশি সময় থাকে তবে আপনি ক্যাপচা সলভার (captcha solver) হিসাবে অনলাইনে আরও বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আর ক্যাপচা সলভার অনলাইন অর্থ উপার্জন সবচেয়ে সহজ উপায় গুলোর অন্যতম একটি কাজ।
একজন ক্যাপচা solver হিসাবে, আপনাকে ক্যাপচার ইমেজ পড়ে বুঝতে হবে এবং সঠিক অক্ষর বা চিহ্ন লিখতে হবে। ভাল আয়ের জন্য আপনাকে খুব দ্রুতই টাইপ করতে জানতে হবে।
আপনি প্রতি ১০০০ ক্যাপচা সমাধান করে $ ২ পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি ক্যাপচা সমাধান করতে আগ্রহী হন তবে Kolotibablo, MegaTypers, CaptchaTypers, ProTypers, Captcha2Cash, 2Captcha, Qlinkgroup, VirtualBee, FastTypers, PixProfit, এই ক্যাপচা সাইট গুলোতে সাইনআপ করে কাজ শুরু করতে পারেন।
১২. জরিপ বা সার্ভে থেকে ইনকাম করুন
কোন প্রতিষ্ঠানের বা ব্র্যান্ডের পণ্যের উপর ৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে সার্ভে বা জরিপ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অনলাইন সার্ভে করে আপনি উপরের যে কোন উপায় থেকে আরও বেশি আয় করতে পারবেন।
সার্ভে করার জন্য আপনাকে উক্ত পন্য বা সেবা সম্পর্কে মতামত দিতে হবে। সার্ভে বা জরিপের ক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র প্রশ্ন থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী উত্তর নির্বাচন করতে হবে, অতিরিক্ত কিছুই লিখতে হবে নেই।
জরিপের দৈর্ঘ্য, আপনার প্রোফাইল এবং আপনি যে দেশে বসবাস করছেন তার উপর নির্ভর করে আপনি প্রতিটি সার্ভের জন্য $ ১ থেকে $ ২০ ইনকাম করতে পারেন।
১৩) এসইও
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও(SEO) হল অনলাইনে সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি কাজ। আপনি যদি এসইও কাজ পারেন তবে আপনাকে অনলাইনে টাকা উপার্জন করার বিষয়ে চিন্তা করতে হবে না।
অনলাইনে হাজার হাজার ওয়েবসাইট এবং কোম্পানি আছে যারা এসইওতে প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার খরচ করে যাতে তাদের ওয়েবসাইটের কীওয়ার্ড গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনের সার্চে প্রথম দেখায়।
আপনি এসইও কাজ শিখতে চাইলে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা এসইও কাজ শেখায় তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আর নিজে নিজে শিখতে চাইলে ইউটিউবে এবং গুগলে হাজার হাজার লেখা আছে সেগুলো দেখে শিখতে পারেন।
১৪. অনলাইনে সার্ভে করে আয়
কোন প্রতিষ্ঠানের সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁদের সম্পর্কে তাদের টার্গেট ক্রেতা এবং সাধারণ মানুষেরা কি ধারনা পোষণ করে এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এর ফলে সেই প্রতিষ্ঠান তাদের করা ভুল গুলো শুধরে নিজেদের সফলতার পথ সুগম করতে পারে।সার্ভে এর মূল লক্ষ্যই হল কোন প্রতিষ্ঠানের বর্তমান বাজারে অবস্থান কেমন তা পরিস্কার করা।আর এই রকম জরিপ করার জন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠান ভালো পরিমান অর্থ ব্যয় করে থাকে।আপনি চাইলে এই প্রতিষ্ঠান গুলোর সার্ভের কাজ করে অনলাইন থেকে ভালো পরিমান অর্থ আয় করতে পারেন।তবে সার্ভের কাজ করার জন্য সাবধান থাকা খুবই জরুরি,কেননা অনলাইনে হাতে গোনা কিছু সার্ভে ওয়েবসাইট আছে যারা কাজ করে নিয়ে পেমেন্ট করে আর বাঁকি গুলো আপনাকে পেমেন্ট করবে না অর্থাৎ স্কাম সাইট।
১৫. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে অনলাইনে আয়
বর্তমান সময় হল প্রযুক্তির,এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে একটি ওয়েবসাইট ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠানের অস্থিত্ত কল্পনাও করা যায় না।আর কোন প্রতিষ্ঠান যখন তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তখন একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপার কে দিয়ে তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করে নেয়।এবং এর বিনিময়ে তাঁরা ভালো পরিমানের অর্থ ওয়েব ডেভেলপারদের পে করে থাকে।আর এই কারনেই অনেকেই ওয়েব ডেভেলপার হিসাবে কাজ করছে।আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপার হিসাবে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ওয়েব ডেভেলপ শিখে এরপর কাজ শুরু করতে হবে।
১৬. সিপিএ মার্কেটিং
এটা হল এমন একটি অনলাইন আয় করার পদ্ধতি। যার মাধ্যমে আপনি মূলত যে কোন একটি প্ল্যাটফরম কিংবা কোম্পানির লিড কমপ্লিট করার মাধ্যমে ডলার আয় করতে পারবেন।
এখানে প্রায় 99% কাজই হলো মূলত আপনি যে কাউকে একটি লিংক এর মধ্যে সাইনআপ করতে বলা যেখানে তারা তাদের নাম এবং ইমেইল লিখে দিলেই আপনি এখান থেকে ওই সমপরিমাণ ডলার আয় করতে পারবেন, যা আপনি প্রথমে দেখেছিলেন যখন কোন লিড সংগ্রহ সংগ্রহ করেছিলেন।
মূলত অনলাইন থেকে আয় করার ক্ষেত্রে এই কাজটি একেবারেই সহজ এবং এখান থেকে আয় করার পরিমাণ খুব বেশি।
তবে আপনি যে lead সংগ্রহ করবেন এটি মূলত কিছু দেশে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং ওই দেশের লোকজনের কাছ থেকে আপনাকে তাদের ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করতে হবে।
১৭. Dropshipping
সর্ব প্রথম জেনে নেব Dropshipping কি? মনে করুন, আপনার গ্রামে বা আপনার আশেপাশে পরিচিত কিছু লোক ভাল মানের পোষাক তৈরী করে বিভিন্ন দোকানে প্রতি পিছ ৪০০ টাকায় বিক্রয় করে। কিন্তু আপনি দেখেছেন, একই পোষাক এমাজনে ৮০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। এমন কি বড় বড় মার্কেটে এইসব পোষাক ৮০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হচ্ছে, যেমন চাষীদের কাছ থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাওয়া পাঁচ টাকার বেগুন ঢাকা শহরে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রয় হয়। এইসব দেখে আপনি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে তাদের পোষাক গুলোকে আপনার সাইটে সাজিয়েছেন। অথবা বাংলাদেশের বড় বড় ই-কমার্স সাইটে একটি প্রোফাইল বানিয়ে পোষাক গুলো সাজিয়েছেন। এই সাইট গুলোর মাধ্যমে আপনি প্রতি পিছ ৭০০ টাকায় বিক্রয় করলে এবং যারা পোষাক তৈরী করে তাদের কাছ থেকে প্রতি পিছ ৪০০ টাকায় নিলে, তাহলে প্রতি পিছে আপনার লাভ থাকে ৩০০ টাকা। দৈনিক গড়ে শুদুমাত্র দশ পিছ বিক্রয় হলেও প্রতি মাসে আপনি প্রায় ৯০০০০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারছেন। সারা বিশ্বে অনেক মানুষ
amazon.com সহ বড় বড় ই-কমার্স সাইট গুলোর মাধ্যমে এই
Dropshipping করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছেন। আপনার যদি এরকম কোন সুযোগ থাকে, তাহলে আর দেরি কিসের! লক্ষ লক্ষ মানুষ সফল হয়েছে। আপনি ও চেষ্টা করুন। সফল হবেন ইনশা-আল্লাহ।
১৮. Online Teacher
অনেকেই আছেন যারা কলেজ ভার্সিটিতে লেখা পড়ার পাশাপাশি ঘরে ঘরে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদেরকে পড়ান অর্থাৎ টিউশন করেন। এরকম টিউশন করে প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ত্রিশ থেকে ষাট হাজার টাকা পর্যন্ত হয়তো ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু পৃথিবী এখন প্রযুক্তির। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই অনলাইন টিউশন করে আরো অনেক বেশি ইনকাম করছেন। আপনি জেনে হয়তো অবাক হবেন যে, বর্তমানে উন্নত বিশ্বে প্রায় ৪৮% শিক্ষক অনলাইনে টিউশন করছেন। এবং এটা দৈনন্দিন কল্পনাতীত ভাবে গ্রো হচ্ছে। আমাদের পাশের দেশ ভারতে ও অনলাইন টিউশন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনিও যদি একজন শিক্ষক হয়ে থাকেন এবং যে কোন একটি বিষয়ে আপনার প্রচুর দক্ষতা রয়েছে, তাহলে আপনিও অনলাই টিউশন করে ভাল উপার্জন করতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, বা
SEO এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে কোর্স করে ভাল উপার্জন করতে পারেন। Online Teacher সম্পর্কে আপনার যদি কোন রকম ধারনা না থাকে তাহলে,
10minuteschool.com নামে বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় অনলাইন স্কুল রয়েছে, ওরা কিভাবে অনলাইনে টিউশন দিচ্ছেন তা দেখে কিছুটা আইডিয়া নিতে পারেন। অথবা গোগল মামার কাছে অনলাইন টিচিং সম্পর্কে জানতে চাইলে অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন। আমার কথা হচ্ছে, আপনি প্রথমে আপনার আশে পাশের দু'একজনকে নিয়ে শুরু করে দেখুন। যদি মনে হয় আপনি সফল হতে পারবেন, তাহলে বিকাশের সকল সীমা ছাড়িয়ে যান। সফলতা আসবে ইনশা-আল্লাহ।
১৯. ছবি বিক্রি করে আয়
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনলাইনে আয় করার অন্যতম আরেকটি সহজ উপায় হচ্ছে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করা।ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে কোন প্রকার কষ্ট ছাড়াই ঘরে বসেই আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র দরকার হবে নানা ধরনের নিত্য নতুন ছবি।
ছবি বিক্রি করার জন্য নানা ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে। সেই ওয়েবসাইটগুলোতে অনায়াসেই আপনি আপনার পছন্দের ছবিগুলো বিক্রি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে সর্বপ্রথম ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং ক্যাটাগরি অনুযায়ী ছবি আপলোড দিতে হবে।
ছবি আপলোড করার পর আপনার আপলোডকৃত ছবি যদি কেউ পছন্দ করে এবং সেই ওয়েবসাইট থেকে কিনে নেয় তাহলে আপনার ইনকাম হতে থাকবে। এভাবে যত বেশি ছবি বিক্রি হবে তত বেশি আয় করতে পারবেন।
আপনাদের জানার সুবিধার্থে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করার ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে নিচে আমি কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট তুলে ধরেছি। আপনারা এই সকল সাইটগুলোতে কাজ করে দেখতে পারেন।
২০. অনলাইনে টাকা ইনকামের বোনাস টিপস
ইন্টারনেটে আয় করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে আরো কিছু উপায় রয়েছে।আর এই উপায়গুলি অবলম্বন করে আপনি আপনার অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজেই ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এসকল বিষয় গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- আর্টিকেল রাইটিং
- ওয়েব ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
- ইমেইল মার্কেটিং
- এস ই ও
- ডাটা এন্ট্রি
- লিড জেনারেশন
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
উপরের বিষয় গুলো হল অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় সমূহের মধ্যে অন্যতম। যে বিষয়গুলো আপনাদের সাথে তুলে ধরলাম সেই বিষয়গুলো থেকে প্রায় সকল বিষয়ের উপরই কাজ করে ইন্টারনেটে আয় করতে পারবেন।
আপনি চাইলে এগুলোর যেকোনো একটিকে প্রফেশন হিসেবে ক্যারিয়ারে নিতে পারেন।তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা অনলাইনে আয় করে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে চান।তাদের জন্য একটি কথা হল যে, ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করার পর পেমেন্ট নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্ট হল সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম।
মোবাইল ফোন দিয়ে ইনকাম করার কিছু উপায়
|
অইলাইন ইনকাম |
মোবাইল ফোনে আয় করার কিছু পিটিসি সাইট ২০২১
মজার ব্যাপার হলো আপনি এই সকল সাইটে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েই ঘরে বসে আয় করতে পারবেন ।
এনড্রোয়েড এপস থেকে ইনকাম ২০২১
অপনি হয়তো আপনার বন্ধু বান্ধব বা প্রতিবেশী বা যেকোন মাধ্যম থেকে শুনেছে যে Android Apps ইনকাম করা যায়। হ্যা ভাই আপনি ঠিকই শুনেছেন। গুগল প্লে স্টোরে এমন অনেক এপস আছে যেগুলা ডাউনলোড করে আপনি ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন । তবে শুধু ডাউনলোড করলেই হবে না । এপস ডাউনলোড করার পর অনেক রকম কাজ করতে হয় । যেমন , এপ ডাউনলোডিং, এপস রেফার করা, ভিডিও দেখা ইত্যাদি । এই কাজ গুলি করার বিনিময়ে আপনি কিছু টাকা পাবেন ।
জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম এপস ২০২১
ফেসবুক থেকে আয় ২০২১
ফেসবুক তো আমরা সবাই চালাই তাই না ? কত সময় নষ্ট করি ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করে ভিডিও দেখে অযথা নিউজফিট স্ক্রল করে। কিন্তু আমরা যদি একটু সচেতন হই একটু কষ্ট করি তাহলে কিন্তু এই ফেসুবক থেকেই ভালোপরিমান টাকা ইনকাম করা যাবে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? চলুন অলোচনা করি কিভাবে ফেসবুক থেকে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায়।
|
অনলাইন থেকে আয় |
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয়
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে বা লাইভ করে টাকা ইনকাম করা যায় । ফেসবুকের এডব্রেকস সুবিধার মাধমে আপনি আপনার ভিডিও থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবনে। আপনার অপলোড করা ভিডিওতে ফেসবুক বিভিন্ন কম্পানির এড বসাবে আর সেই এডে যদি কেউ ক্লিক করে তবে আপনি সেই অ্যাড থেকে আয়ের কিছু অংশ পাবেন। তবে এডব্রেকস সুবিধা পেতে আপনাকে কিছু শর্ত পুরুন করতে হবে।
যেমনঃ
- শেষ ৬০ দিনে ১,৮০,০০০ মিনিট ভিউ হতে হবে এবং ৩০,০০০ মিনিট ভিউ হতে হবে ৩ মিনিটের বেশী ভিডিওতে।
- শেষ ৬০ দিনে ১৫,০০০ হাজার মানুষের নিকট আপনার পোস্ট পৌছাতে হবে।ৎ
- লাইভ করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে সে শর্ত সেটা হলোঃ
- ভিডিও চার মিনিটের হতে হবে।
এই শর্তগুলি পুরন হলেই আপনি এডব্রেকস সুবিধার জন্য আবেনদ করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ এফিলিযেট মার্কেটিং সমন্ধে আমরা আগেই জেনেছি । নতুন করে বোঝানোর কিছু নেই আপনি অন্যের পন্য আপনার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে প্রচার করবেন । আপনার প্রচারের মাধ্যমে যদি কেউ পন্য কেনে তবে সেই পন্যের লাভ্যাংশ থেকে আপনি নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন।
ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
ছাত্রদের জন্য Online হতে টাকা আয় করার সহজ টিপস আরও অন্য দশজন স্কুল কিংবা কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের মত আপনিও আপনার মূলবান সময়টুকু ব্যয় করছেন ফেইসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন রকম সামাজিক যোগাযোগের সাইটে। মাঝে মাঝে আমার নিজের প্রতিও খুব দুঃখ হয় কেন আমি বিগত দুই বৎসর এ সকল সাইটে সময় ব্যয় করলাম। আমি নিজে প্রায় দুই বৎসর ফেইসবুক, টুইটার এবং বিভিন্ন অনলাইন গেম খেলে সময় পার করেছি। এখন আমি ভাবি কেন আমি এ সময় টুকু ঐ সমস্ত সামাজিক যোগাযোগের সাইটে ব্যয় না করে ব্লগিং করে কাটালাম না।
|
অনলাইন ইনকাম |
এ রকম আমার অনেক বন্ধু বান্ধব আছে যারা ঠিক একই ভাবে বিভিন্ন সামজিক যোগাযোগের সাইটে চ্যাট করে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা সময় পার করে দিচ্ছে। আপনি যদি হিসাব করেন যে, আপনি প্রতিদিন গড়ে কতটুকু সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করে পার করছেন, তাহলে বেশীরভাগ লোকই বলবে ২-৩ ঘন্টা। তাহলে আপনি কি ভাবছেন এ সংখ্যা বছরে কতয় গিয়ে দাড়াচ্ছে। বছরে অন্তত ১০০০-১২০০ ঘন্টা পার করছেন ইন্টারনেটে বিভিন্ন সমাজিক যোগাযোগ এর সাইটে চ্যাট করে। কিন্তু একবারও কি আপনি নিজের কাছে প্রশ্ন করেছেন যে, আপনার এ মূল্যবান সময়গুলি ব্যয় করে আপনি কি পেয়েছেন? আমিত নির্ধিদ্বায় বলতে পারি এর শুরু থেকে শেষ অব্দি শুধু শূন্য আর শূন্য।
ছাত্রদের জন্য Online হতে টাকা আয় করার সহজ টিপস আপনার মূ্ল্যবান সময়ের সামান্য সময় ব্যয় করে যদি কিছু টাকা পয়সা ইনকাম করে নিজের প্রয়োজন মিটাতে পারেন, তাহলে অন্যের কাছ থেকে ধার কর্জ করে চলার চেয়ে খারাপ কি? ইন্টারনেট জগৎটা Facebook, social media and gaming এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আপনার সামান্য ইচ্ছা শক্তির বলে আপনি ইন্টারনেট হতে কিছু টাকা উপাজর্ন করতে পারেন। এই জন্য আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে ছাত্র-ছাত্রী, গৃহিনী এবং কিশোর বয়সি আধুনিক জেনারেশনরা ইন্টারনেট হতে অল্প কিছু টাকা উপার্জন করে নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজন মিটাতে পারেন।
কেন ছাত্রদের টাকার প্রয়োজন স্কুল কিংবা কলেজ সকল স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের কিছু Extra Pocket Money এর প্রয়োজন হয়। এই অল্প টাকা দিয়েই সে তার নিত্য প্রয়োজনীয় ছোট খাটো সখ এবং প্রয়োজন গুলি মিটিয়ে নিতে পারে। তাছাড়াও স্বাভাবিক ভাবেই এখনকার জেনারেশনের ছাত্রদের Smartphone, Gaming consoles, Cool cloths ইত্যাদি লাগেই। এ গুলি তাদের চলার পথকে আর Smart এবং সুগম করে। এই ছোট খাটো ব্যাপার গুলি অনেক সময় আপনার ফ্যামেলির কাছ থেকে চেয়ে নিতে পারবেন না। এই জন্য আপনি যদি অল্প সময় ব্যয় করে অনলাইন হতে কিছু টাকা উপার্জন করে নিজের প্রয়োজন নিজেই মিটাতে পারেন, তাহলে নিজেকে যেমন আত্ম নির্ভরশীল মনে হতো তেমনি প্রয়োজন গুলিও মিটে যেত। তাছাড়া অনেক গৃহিনী আছেন যাদের বাসায় বসে থাকা ছাড়া কোন কাজই থাকে না। তারা বেশীরভাগ সময় ব্যয় করে ফেইসবুকে বন্ধুদের সাথে চ্যাট করে। আপনি অযথা এই সময় ব্যয় না করে যদি নিজের কিছু প্রয়োজন মিঠাতে পারেন বা অল্প আয় করতে পারেন তাহলে দুষের কি? এই পোষ্ট ভালো ভাবে পড়ে আপনার ভাগ্যকে বদলে ফেলুন।
প্রতিদিন কতখন কাজ করতে হবে
আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে যদি আপনি বলেন প্রতিদিন কতটুকু সময় দিতে হয় সেটা আপনার জন্য মাইনাস পয়েন্ট। কেননা আপনি কাজ করার প্রথমে আপনি সময় নিয়ে ভাবছেন। আমি প্রথম যখন অনলাইনে কাজ শুরু করি এবং ব্লগিং স্টার্ট করি তখন প্রথমত আমি প্রতিদিন 4 থেকে 6 ঘন্টা সময় দিতাম। তখন যে পরিমানে আয় হতো বর্তমানের সপ্তাহে 10 থেকে 12 ঘন্টা সময় দেই আমার আয় এর সংখ্যাটা পূর্বের থেকে তিনগুন। এখন ভেবে দেখুন আপনার কতটুকু সময় লাগবে বা কতটুকু সময় নিয়ে আপনি কাজ করতে পারবেন।
বলতে গেলে এখানে ধরাবাঁধা কোনো সময় নেই। আপনি যেরকম সময় দিবেন, যে রকম রিসার্স করবেন, যে রকম ঘাটাঘাটি করবেন, সে অনুযায়ী ফলাফল পাবেন। আপনি কাজ করুন আমি আপনার সাথে আছি। প্রয়োজন হলে নিচের কমেন্ট বক্সএ কমেন্ট করতে পারেন।
কিছু কথা
আপনি যে পদ্ধতিতেই আয় করতে যান না কেনো, তা কখনোই রাতারাতি হবে না। ধৈর্য সহকারে লেগে থাকতে হবে, বারবার চেষ্টা করতে হবে। তারপরই সফলতার মুখ দেখবেন। তাছাড়া যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন না করলে প্রতারণার শিকার হয়ে সকল পরিশ্রম বৃথা ও যেতে পারে। কাজেই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিন এবং পরিশ্রম করুন, সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ।
Post a Comment