ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ২০২১ সালের এর নতুন নিয়মে
Tachtunes bd3
ভুমিকা:
যাঁরা প্রচলিত অফিস বাদ দিয়ে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে সবচেয়ে বেশি আয় করতে চান, তাঁদের জন্য ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্ষেত্রের দক্ষতা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। সম্প্রতি এ দুটি খাতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা সবচেয়ে বেশি বাড়তে দেখা গেছে। ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রের জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, কর্মী নিয়োগদাতাদের কাছে ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট জানা কর্মীর চাহিদা জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। সম্প্রতি ‘ফাস্ট ৫০’ নামে দক্ষতাবিষয়ক প্রান্তিক সূচক প্রকাশ করেছে ফ্রিল্যান্সার ডটকম। ওই তালিকায় সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন দক্ষতার মধ্যে স্থান পেয়েছে ডেটা অ্যানালিটিক্স, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, মাইক্রোসফট অফিস, কপি টাইপিং, ট্রান্সক্রিপশন, রাশিয়ান ট্রান্সলেশন, বুককিপিং, ই-মেইল হ্যান্ডেলিং ও কাস্টমার সাপোর্ট। যাঁদের এ ধরনের কাজে দক্ষতা আছে, তাঁরা চাইলে ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ভালো করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সার ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, গত প্রান্তিকে ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্ষেত্রের চাহিদা বেড়েছে ৫৮.৯ ও ৫৫.৬ শতাংশ। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে তাদের সাইটে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ফ্রিল্যান্সিং কাজের পোস্ট হয়েছে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন ৫০টি কাজের তালিকা থেকে তৈরি করা হয়েছে ‘ফাস্ট ৫০’।
Freelancing কি
উপরের আলোচনা ও বিশ্লেষণ থেকে এভাবে বলা যায় যে, নিজের মেধা ও অভীজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির মাধ্যমে অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।
তাছাড়া উপরের আলোচনা থেকে এটাও বুঝা গেল যে, ফ্রিল্যান্সিং যদিও একটি মুক্ত পেশা কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজের অবস্থান ভালো করার জন্য এবং বেশি পরিমানে টাকা আয় করার জন্য মুক্তভাবে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। একজন ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যত বেশি সময় ও শ্রম দিতে পারবে, সেই ফ্রিল্যান্সার ফ্রিল্যান্সিং করে তত বেশি টাকা আয় করে নিতে পারবে। আর যারা ফ্রিল্যান্সিংকে মুক্ত পেশা হিসেবে ধরে নিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করবে, তারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে কখনো সফলতা অর্জন করতে পারবে না।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা গুলো কি কি
ফ্রিল্যান্সিং এর সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে স্বাধীনতা রয়েছে। কাজের জন্য কোন দায়বদ্ধতা থাকে না এবং বসের বকাঝকা খাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
একটি নরমাল জবের চাইতে অনেক বেশি টাকা আয় করা সম্ভব হয়।
কাজের কোনো লিমিট নেই। যত বেশি কাজ তত বেশি টাকা।
মাসে একাধিক পেমেন্ট পাওয়া যায়। যেটা কোন অফলাইন চাকরি থেকে পাওয়া সম্ভব নয়।
কম সময় ব্যয় করে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব হয়।
ঘরে বসে কাজ করা যায়। কোন অফিস এর প্রয়োজন হয় না।
কোন ধরনের ইনভেসমেন্ট করা লাগে না।
ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা গুলো কি কি
প্রত্যেকটি জিনিসের বা কাজের যেমন খারাপ দিক থাকে, ঠিক তেমনটি ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রেও কিছু অসুবিধা রয়েছে। কাজেই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে প্রবেশ করার আগে ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধাগুলো জেনে নেওয়া ভালো। কারণ না জেনে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে প্রবেশ করার পর সফল হতে না পারলে, আপনি আর্থিক অভাব অনটনে পড়তে পারেন।
কাজের কোন নিরাপত্তা বা গ্যারান্টি নেই। কোনো কোনো সময় এমন হবে, আপনি সারা মাসেও একটি কাজ পাবেন না।
অধিকাংশ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা বুঝে না বিধায় ফ্রিল্যান্সিংকে সম্মানজনক জব হিসেবে মনে করে না।
নিজের কাজ নিজেই করতে হয়। অন্যকে দিয়ে করানোর সুযোগ থাকে না।
আমাদের দেশে পেমেন্ট এর কিছু অসুবিধা আছে।
ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের কোন সুযোগ থাকে না।
ফ্রিল্যান্সিং এর সহজ কাজ ১০টি কাজ
১, ডেটা অ্যানালিটিক্স
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডেটা অ্যানালিটিক্সের চাহিদা বাড়তে থাকবে। ২০২৩ সাল নাগাদ ডেটা অ্যানালিটিক্স মার্কেট বেড়ে দাঁড়াবে ২৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ডেটা অ্যানালিটক্সে চাহিদাসম্পন্ন কর্মীর চাহিদা ৫৮.৯ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমান ব্যবসার ট্রেন্ড বুঝতে এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজাতে দক্ষ কর্মীদের জন্য নানা প্রকল্প নিচ্ছে নিয়োগদাতারা। তাই যাঁরা ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহী, তাঁদের জন্য এ দক্ষতা বাড়তি আয়ের পথ খুলে দেবে।
২. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি আগের প্রান্তিকে পোস্ট হওয়া ৭ হাজার ৯২৫ থেকে ১২ হাজার ৩২৯টিতে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এ খাতে চাহিদা বেড়েছে ৫৫ শতাংশের বেশি। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের নানা রকম কাজে নিয়োগদাতাকে সাহায্য করতে হয়। গ্রাহকসেবা, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ব্লগ পোস্টিং থেকে শুরু করে ভার্চুয়াল অফিসে বাস্তব অফিসের সহকারীর মতো কাজ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রকল্পভিত্তিক বা ঘণ্টা ভিত্তিতে আয়ের সুযোগ থাকে।
৩. মাইক্রোসফট অফিস
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
গত প্রান্তিকে মাইক্রোসফট এক্সেলে দক্ষ কর্মীদের প্রচুর চাহিদা বাড়তে দেখা গেছে। সাধারণ টাইপিং বা ডেটা এন্ট্রি কাজের তুলনায় এক্সেল দক্ষতা কিছুটা জটিল। এক্সেল ও প্রোগ্রামিং দক্ষতাসম্পন্ন একজন কর্মী কাজকে স্বয়ংক্রিয় করে তোলার মাধ্যমে নিয়োগকারীর সময় বাঁচাতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে ২০ ঘণ্টার কাজ এক ঘণ্টায় হয়ে যায়। এ ধরনের কাজে দক্ষ কর্মীরা স্বল্প সময়ে প্রচুর আয় করতে পারেন। যাঁরা ফ্রিল্যান্সিং কাজে ঢুকতে আগ্রহী, তাঁরা এক্সেল নিয়ে কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
৪. কপি টাইপিং
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
টানা দুই প্রান্তিক জুড়ে শীর্ষ ১০ চাহিদাসম্পন্ন কাজের মধ্যে রয়েছে কপি টাইপিং। গত প্রান্তিকে এর চাহিদা বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। বিস্তৃত ও এলোমেলো তথ্য থেকে পরিষ্কার তথ্যে কপি তৈরি, হাতে লেখা পোস্টকে সম্পাদনা উপযোগী পোস্টে রূপান্তর করার মতো নানা কাজ করতে হয় কপি টাইপিং কর্মীকে। নির্দিষ্ট প্রকল্পে নির্দিষ্ট বাজেট বা ঘণ্টা ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। যাঁরা দ্রুত ও নির্ভুল কপি টাইপ করতে পারেন, তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বাজারে কাজের সুযোগ রয়েছে।
৫. ট্রান্সক্রিপশন
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
যাঁরা ভাষান্তর কাজে পারদর্শী তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ট্রান্সক্রিপশনে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ৫২ দশমিক ২ শতাংশ চাহিদা বেড়েছে ট্রান্সক্রিপশন কাজে দক্ষ কর্মীদের। যাঁরা নতুন করে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তাঁরা ভাষান্তর কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আরবি, রুশ, মান্দারিন, ফ্রেঞ্চসহ যত বেশি ভাষা জানবেন, তত বেশি আয় করতে পারবেন।
৬. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
ইন্টারনেট বাণিজ্যের এ যুগে ওয়েবসাইট ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান তো কল্পনাই করা যায় না। আবার ওয়েবসাইট থাকলেই কিন্তু এখন চলে না। এটি সর্বত্র পৌঁছে দিতে ব্যাপক মার্কেটিংয়েরও প্রয়োজন হয়। ওয়েবসাইটকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায়। ওয়েবসাইটকে গুগলের প্রথম দিকে নিয়ে আসার যে কৌশল সেগুলোকেই মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলা হয়। দিন দিন বিশ্বব্যাপী যত ওয়েবসাইট বাড়ছে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজের ক্ষেত্রও অনেক বাড়ছে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতেও তাই দিন দিন বাড়ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ। আর এ হিসেবে ফ্রিল্যান্সার হতে চাওয়া তরুণ-তরুণীদের অন্যতম পছন্দ হতে পারে এ ক্ষেত্রটি। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোর তথ্যানুসারে, একজন দক্ষ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার মাসে ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। প্রয়োজন সঠিক নির্দেশনা, প্রচেষ্টা, ধৈর্য এবং সময়। বর্তমানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এ পেশায় বেশ ভালো করছেন। জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কিত বস্নগ এসইওমজের ডাটা অনুযায়ী প্রতি ১০০ জন ফ্রিল্যান্স সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারদের মধ্যে ২৩ জনই নারী। ওডেস্কের বিলিয়ন ডলারের এ মার্কেটপ্লেসের ১২ শতাংশ এখন আমাদের দখলে। আর এর মধ্যেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) কাজ সবচেয়ে বেশি করা হয়। শুধু ওডেস্ক নয়, অন্যান্য মার্কেটপ্লেসেও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজে বাংলাদেশীদের পদচারণা বাড়ছে। গত বছর ফ্রিল্যান্সার ডটকম আয়োজিত কনটেন্ট রাইটিং ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) ২০১২ প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের ফ্রিল্যান্সারদের হারিয়ে বাংলাদেশের সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও ইন্টারনেট মার্কেটিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ডেভসটিম লিমিটেড প্রথম হয়। আর এজন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বিশ্বে বাংলাদেশ এখন খুব পরিচিত একটি নাম।
আপনি যদি ইংরেজি মোটামুটি জানেন, তবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শেখা শুরু করে দিতে পারেন। এসইওর এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো খুব কঠিন কিছু নয়। দু’তিন মাসের ট্রেনিং নিয়েই এ ধরনের কাজ করা যায়। কোথায় পাবেন প্রশিক্ষণ। ইন্টারনেট থেকেই শিখতে পারেন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের খুঁটিনাটি। প্রয়োজনে নিতে পারেন প্রশিক্ষণ। ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন চাহিদাসম্পন্ন এ কাজে।
৭. ওয়েব ও গ্রাফিক্স ডিজাইন
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
আঁকাআঁকিতে ঝোঁক বেশি! ক্রিয়েটিভ কিছু করতে চান? সময় পেলেই কমপিউটারের পেইন্ট টুলস, ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর নিয়ে গাছ, পাখি, ফুল, ফল, বাড়ির দৃশ্য, কারও নাম বা ছবি নিয়ে কাজ শুরু করেন। পার্টটাইম বা ফুলটাইম কাজ খুঁজছেন? অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে অপেক্ষাকৃত বেশি আয় করতে চান? তাহলে ভেবেচিন্তে নেমে পড়ুন গ্রাফিক্স ডিজাইনে। অন্যান্য চাকরির চেয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশাটি সবচেয়ে নিরাপদ ও ঝামেলাহীন। নিরাপদ ও ঝামেলাহীন বলার কারণ হলো অন্যান্য পেশার বিপরীতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কোনো কাজের অভাব হয় না। এটি একটি সম্মানজনক পেশা। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বেশ কিছু কালার, টাইপফেস, ইমেজ এবং অ্যানিমেশন ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হন। এর আউটপুট ডিজিটাল বা প্রিন্ট উভয়ই হতে পারে। নিজেকে ভালোভাবে তৈরি করতে পারলে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের অভাব হয় না। ইন্টার্যাক্টিভ মিডিয়া, প্রমোশনাল ডিসপ্লে, জার্নাল, করপোরেট রিপোর্ট, মার্কেটিং ব্রোশিউর, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, লোগো ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইনসহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজের চাহিদা রয়েছে। লোকাল মার্কেট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস যাই বলি না কেনো, প্রতিনিয়ত গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের পরিমাণ বাড়ছে।
ডিজাইনারদের বেতন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ডিজাইনার স্যালারিজের মতে, একজন ডিজাইনার প্রতি বছরে গ্রাফিক্স ডিজাইন বা এ সম্পর্কিত চাকরি বা কাজ করে এক লাখ ডলার আয় করতে পারেন। সেই হিসেবে বাংলাদেশী প্রায় ৮০ লাখ টাকা আয় করতে পারেন। বাংলাদেশে গ্রাফিক্স ডিজাইনে ডিপেস্নামাধারীর বেতন মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। তবে ব্যাচেলর ফাইন আর্টসে ডিগ্রিধারীদের বেতন মাসে এক থেকে দেড় লাখ টাকা হতে পারে। এছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একটি লোগো ডিজাইন করলে পাঁচ ডলার থেকে শুরু করে দুই হাজার ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায়। তবে দক্ষতার ক্ষেত্রে ও বেশি ক্রিয়েটিভ কাজ হলে তা পাঁচ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া একটি ওয়েবসাইটটের ফাস্ট পেজ ডিজাইন করার ক্ষেত্রে ৫০ ডলার থেকে শুরু করে তিন হাজার ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। ৯৯ডিজাইনস ডটকম, ফ্রিল্যান্সার, ওডেস্কসহ অনেক অনলাইন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে এ কাজগুলো পাওয়া যায়। তাই ওয়েব ও গ্রাফিক্স ডিজাইন হতে পারে একজন ফ্রিল্যান্সারের সবচেয়ে উপযোগী পেশা।
৮. ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
ঘরে বসে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করতে পারেন। প্রত্যেকটি কোম্পানির একটি ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন হয়। তাদের পণ্য ও সেবা গুলোকে এবং তাদের সকল ইনফরমেশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের কাছে প্রেজেন্ট করার জন্য।
ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট খোলার খরচ কম। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস এর কাজ ভালোভাবে শিখতে পারেন তাহলে এই কাজের ভালো চাহিদা রয়েছে। ওয়েবসাইটের মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস এর প্রয়োজনীয়তা বেশি। আপনিও চাইলে এই কাজ শিখে আয় করতে পারবেন।
৯. লোগো ডিজাইন
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং এ লোগো ডিজাইনের কাজ শিখে যে কেউ আয় করতে পারেন। আমরা যতগুলো প্রতিষ্ঠান দেখে থাকি, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের লোগো রয়েছে।
প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ, ই-কমার্স, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এই প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের লোগো ডিজাইনের প্রয়োজন হয়।
১০. ফাইভার
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
পূর্বে ফাইভারে শুধু ৫ ডলারের কাজ পাওয়া যেত। কিন্তু এখন এখানে ৫ ডলার থেকে শুরু করে অনেক ভাল অ্যামাউন্টের কাজ পাওয়া যায়। একি সাইটের উল্লেখযোগ্য ও জনপ্রিয় ক্যাটাগরি হলোঃ লোগো ডিজাইন, ভয়েস রেকর্ড, আর্টিকেল লেখা ইত্যাদি। এছাড়া অন্যান্য ছোট ছোট কাজও পাওয়া যায়।
এখানে ফ্রিল্যান্সারদের যেমন বিড করার সুযোগ আছে তেমনি, বায়াররা সরাসরি ফ্রিল্যান্সার সার্চ করেও প্রজেক্ট অফার করে থাকেন। ফাইভারে ঘণ্টা ভিত্তিক(আওয়ারলি) কোনো জব নেই। এখানে সবই ফিক্সড প্রাইসের প্রজেক্ট। এখান থেকে পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার পদ্ধতিতে পেমেন্ট নেয়ার সুবিধা আছে
নতুনরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে পারে।
ফ্রিলান্সিং ইংরেজি শব্দ যার বাংলা প্রতিশব্দ মুক্ত-পেশা। আরো সহজভাবেবলা যায়, একজন ফ্রিলান্সার হচ্ছে আত্ম-কর্মশীল যে কোন নির্দিষ্ট কর্মদাতারঅধীনে দীর্ঘ সময়ের জন্য কাজ করে না। এরা সল্প সময়ের জন্য বিভিন্ন কম্পানি, এজেন্সিতে নিজেদের নিযুক্ত করে শ্রম দেয়। ফুল টাইম অথবা পার্ট যেকোনো ভাবেইসে পেশটাকে নিতে পারে। আর প্রজেক্ট ও ঘণ্টা এই দুইভাবে কাজ করে এরা।যেকোনো জায়গাতে বসেই এরা কাজ করতে পারে। হউক সেটা নিজের ঘর অথবা পার্কেরমাঠ। ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, গৃহিণী সহ যেকোনো কাজের পাশাপাশি যে কেউফ্রিলান্স পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে। অথবা যারা পড়াশুনা শেষ করেচাকুরির জন্য চেষ্টা করছেন এরাও এই পেশাটাকে বেছে নিতে পারেন। নতুন বলতেশুধুমাত্র নতুন প্রজন্মকে বলা হচ্ছে না, হতে পারে সে ৪৫ বছরের একজন সরকারিচাকুরীজীবী অথবা ২৫ বছরের গৃহিণী।
নতুনদের কেন ফ্রিলান্স পেশায় আসা উচিত
আন্তর্জাতিকবাজারের চাহিদা, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা হতে পারে অন্যতম কারণ যারজন্য নতুনদের এই পেশায় আসা উচিত। বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, দিন দিন আমাদেরদেশে বেকারত্বের প্রভাব বেড়েই চলেছে। শিক্ষিত জনশক্তি গোষ্ঠী বাড়ছেপ্রতিবছরই কিন্তু কর্ম-সংস্থান বাড়ছে না তুলনামুলক ভাবে। তাই অধিকাংশশিক্ষিত মানুষগুলোকে বয়ে বেড়াতে হয় বেকারত্বের অভিশাপ। যেখানে গতানুগতিকচাকুরির বাজার সঙ্কীর্ণ সেখানে অনলাইনের মাধ্যমে ফ্রিলান্সিং পেশা হতে পারেদেশের অর্থনৈতিক সচ্ছলতার অন্যতম চালিকাশক্তি। আবার যারা ইতোমধ্যে বিভিন্নপেশায় নিয়োজিত আছেন তারাও দিনের কিছুটা সময় কাজ করে আয়ের আরেকটি মাধ্যমহিসেবে ফ্রিলান্সিং পেশাকে বেছে নিতে পারেন।
নতুনরা যেভাবে ফ্রিলাসিং এ আসতে পারে
গতকয়েক বছরে ফ্রিলান্সিং আমরা যে হারে এগিয়েছি তাতে বলার অপেক্ষা রাখেনা যেএই পেশার ভবিষ্যৎ আশাব্যঞ্জক। আর এর ভবিষ্যৎ বুঝতে পেরেই বর্তমান সরকারঅনলাইনে ফ্রিলান্সিং পেশায় সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতেনিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, MoICT উদ্যোগে এন্ড্রোয়েড এপস ডেভেলপমেন্টপ্রশিক্ষণ। যেখানে কিভাবে এন্ডোয়েড মোবাইলের এপস বানানো যায় তা শেখানো হয়।এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ, প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও স্বনির্ভর বাংলাদেশেরউদ্যোগে লার্নিং এন্ড আরনিং প্রশিক্ষণ। এখানে বহুবিধ কাজ শেখানো হয়। যেমন, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, এসইও সহ আরো বিভিন্ন রকমের কাজ যা করে যে কেউফ্রিলান্স করতে পারবে। যেখানে বিভিন্ন মেয়াদে সারাদেশে বিভিন্ন সময়েবিনামূল্যে ট্রেনিং এবং সরাসরি অনলাইনে কাজ করে কিভাবে বৈদেশিক মুদ্রা আয়করা যায় সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা দিচ্ছে। তাই নতুনরা প্রাথমিকভাবে এরমাধ্যমে কাজ শিখতে পারে।
কাজ শেখা ও কাজ করা
নতুনদেরমাঝে প্রায়ই একটা প্রশ্ন কাজ করে আর সেটা হল কি কাজ শিখবো আর কিভাবে কাজকরবো? তাদের উচিত হবে প্রথমে জেনে নেয়া যে কি কি কাজ করে অনলাইনেফ্রিলান্সিং করা যায়! এবং কিভাবে দক্ষ ও কর্মঠ হওয়া যায় সেটা নিয়ে ভাবতেহবে। একটি সুন্দর উদাহরণ দেই, আপনি যদি শুধুমাত্র ওয়েব ডেভেলপার হয়েফ্রিলান্স করতে চান তাহলে খুব সহজেই কাজ শিখতে পারবেন। আপনি নিশ্চয়ই আর.আরফাউন্ডেশনের নাম শুনেছেন, এখান থেকে যেকেউ বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখে আপনিকাজ শিখতে পারেন। আর এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য http://rrfoundation.net সাইটেভিজিট করতে পারেন। আবার শঙ্কায় থাকে কিভাবে টাকা হাতে পাবে, কোন ব্যাংকথেকে টাকা পাবে, কাজ শিখতে কত মাস লাগবে, প্রতিমাসে কত টাকা আয় হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনি যদি ভালভাবে কাজ শিখতে পারেন তাহলে আস্তে আস্তে জানতেপারবেন কিভাবে কাজ পাবেন আর কিভাবে টাকা হতে পাবেন। তাই আপনার প্রথম কাজহবে যেকোনো একটা বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে তোলা। আর সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়েনতুনরা অনলাইনের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে কাজ করতে পারবে। তবেসাবধান, কারণ বেশিরভাগ মানুষই অল্প কিছু শিখেই মার্কেটপ্লেসে নেমে পরেকাজের উদ্দেশ্যে। তাই অনেক সময়ই দেখা যায় এরা ক্লাইন্ট এর সব কাজ করে দিতেপারে না।
সংশ্লিষ্টরা যা বলেন
অনেকেই না জেনে, না বুঝে নেমে পড়েন ফ্রিল্যান্সিংয়ে। ফলে দেখা যায় কিছুদূর এগিয়ে আর সামনে যেতে পারছেন না। তাই যে কাজ পছন্দ করেন বা করতে ভালো লাগে তেমন কোনো কাজ ভালোভাবে জেনে তারপর মার্কেটপ্লেসে আসা উচিত। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে পাঁচ শতাধিক ধরনের কাজ রয়েছে, যেখান থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে হবে আপনি কী করবেন। এরপর অনলাইন রিসোর্স বা ভালো কোনো প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কিভাবে মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হয় এসব জেনেই কাজে নামতে হবে। এমনটিই বলছিলেন জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান।
অপর শীর্ষ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ওডেস্কের কান্ট্রি অ্যাম্বাসাডর মাহমুদ হাসান সানি বলেন, ভালো আয় করা যায় এমন বিষয় বিবেচনা না করে দেখতে হবে আপনি কোন বিষয়টি ভালোভাবে পারবেন। কোনো কাজ শুরু করার আগে অনলাইনের রিসোর্স থেকে সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিতে পারেন। এরপর আপনার যে কাজটি করা সম্ভব মনে হবে, তা ভালোভাবে শিখতে হবে। কোনো গাইডলাইনের দরকার হলে ফেসবুক ওডেস্কসহ অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোর ফেসবুক পেজ, গ্রম্নপ ও ফোরামে যুক্ত হতে পারেন। মনে রাখতে হবে, অনলাইনে কেউ আপনাকে এমনিতেই ডলার দেবে না। আপনার কাছ থেকে ভালো কিছু আউটপুট পেলেই তারা কাজটি করতে দেবে ও পে করবে। তাই যাই করেন কাজটি আগে ভালোভাবে জেনে নিন। ভালোভাবে কাজ জানলে কাজের অভাব হয় না।
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণদাতা ডেভসটিম ইনস্টিটিউটের মূল প্রতিষ্ঠান ডেভসটিম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আল-আমিন কবির জানান, অনেকেই না বুঝে ট্রেনিং নিতে চলে আসেন ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখতে। আমরা তাদেরকে সবসময়ই বলি, আপনি যে বিষয়ে কাজ করতে চান তার বেসিক বিষয়গুলো অনলাইন রিসোর্স থেকে জেনে আসেন। তাহলে এ বিষয়ে ভালো করতে পারবেন কি না, তা বুঝতে পারবেন। তা না হলে প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় হারিয়ে যেতে হবে। অনলাইনেই অনেক রিসোর্স আছে, সেখান থেকে আপনি যেকোনো কাজ শিখতে পারেন। এ বিষয়ে বিনামূল্যে কোনো গাইডলাইনের দরকার হলে ডেভসটিম ইনস্টিটিউটে আসতে পারেন। তবে যদি স্বল্প সময়ে কাজ শিখতে চান তাহলে সংশ্লিষ্টদের গাইডলাইন অথবা প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রশিক্ষণ নেয়ার আগে ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবেন যাতে প্রতারিত না হন।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ইংরেজি জানা বাধ্যতামূলক কিনা
আসলে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার জন্য সব ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট সাথে ইংরেজীতে কমিউনিকেশন করতে হয়। কারণ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটের অধিকাংশ ক্লায়েন্টরা বাংলাদেশের বাহিরের হয়ে থাকে। কাজেই তারা যেহেতু বাংলা জানে না সেহেতু তাদের সাথে কমিউনিকেশন বা চ্যাট করার জন্য ইংরেজি ছাড়া বিকল্প কোন উপায় নেই। তবে কিছু কিছু টপিক রয়েছে যেগুলো নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে পরিপূর্ণ ইংরেজি না জানলেও চলবে। শুধুমাত্র আপনার নির্ধারিত বিষয়ে মোটামুটি ইংরেজি জানা থাকলে আপনি বায়ারদের সাথে কমিউনিকেশন করতে পারবেন।
যেমন- গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং এন্ড এনিমেশন বিষয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে ভালোভাবে ইংরেজি জানা না থাকলেও চলবে। শুধুমাত্র আপনার এই টপিকের উপরে মোটামুটি ইংরেজি জানা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং ও আর্টিকেল রাইটিং নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ ইংরেজি জানা না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ করতে পারবেন না।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং এ পারদর্শী হওয়ার জন্য আপনার নির্দিষ্ট কিছু স্কিল থাকা চাই, কাজ ভালো হলে তবেই কম্পানি গুলো আপনাকে কাজ দেবে। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ অনলাইনের মাধ্যমেই হয়ে থাকে, তাই আপনাকে সেই সমস্ত স্কিলে পারদর্শী হতে হবে যেগুলির মার্কেট ডিমান্ড রয়েছে।
যদি আপনার এই স্কিলগুলি না জানা থাকে সেক্ষেত্রেও চিন্তার কিছু নেই, আপনি খুব অল্প সময়েই এগুলি শিখে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন। আপনি সাধারণ গুগল বা ইউটিউবে সার্চ করে এই বিষয়গুলি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন বা খুব অল্প সময়ে প্রফেশনালি এই কাজগুলি আপনি যেকোনো অনলাইন লার্নিং পোর্টাল থেকেও শিখতে পারেন। অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখার একটি পরিপূণ ক্লাস নিচে দেখে নিনঃ-
ফ্রিল্যান্সিং করতে কিছু ভুল ধারণা
কিছু ভুল ধারণাফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শেখা যায়!
৫ হাজার টাকা দিয়ে ২ মাস কোর্স করলেই হাজার টাকা আয় করা যায়!
ট্রেইনিং সেন্টারে গেলেই সফল হওয়া যায়!
CAPTCHA এন্ট্রি, ফেইক লাইক, পিটিসি, BET365 এগুলো ফ্রিল্যান্সিং!
ফ্রিল্যান্সিং করা খুব সহজ, দিনে ২ ঘন্টা সময় দিলেই হাজার টাকা!
ফ্রিল্যান্সিং মানে SEO
ফ্রিল্যান্সিং আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডের জন্য, বিজনেস, নন-আইটি বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছেলে মেয়েদের জন্য না।
ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আইটি ওরিয়েন্টেড ফিল্ডে কাজ করতে হবে।
কিছু অপ্রকাশিত তথ্য
দেশে ৬ লক্ষ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং অথবা অনলাইন প্রফেশনাল।
নাম-সর্বস্ব ট্রেইনিং সেন্টারের সংখ্যা ১১০০০ +
ট্রেইনিং প্রাপ্ত নাম-সর্বস্ব স্কিল্ড ছেলেমেয়ের সংখ্যা ২০ লাখের বেশি (এর অর্থ হল ১৪ লক্ষ বেকার, কারণ তারা সত্যিকার অর্থে স্কিল্ড না)।
নন-আইটি, বিজনেস, ক্রিয়েটিভ, ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই ছাড়া) ব্যাকগ্রাউন্ড এর জন্য কাজের সংখ্যা মোট মার্কেটের ৫৩%।
আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডের বাইরের সবার ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আইটির কাজ শিখতে হবে না, তাদের নিজেদের ব্যাকগ্রাউন্ডের কাজই আছে মার্কেটে অনেক।
কিছু পরামর্শ
ট্রেইনিং সেন্টার থেকে দূরে থাকুন, নিজে শেখার চেষ্টা করুন।
ট্রেইনিং সেন্টারে যদি যেতেই হয়, তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড, ট্রেক রেকর্ড চেক করুন। প্রয়োজনে এই খাতে সফল কারও পরামর্শ নিন।
অল্প দিনে অনেক টাকা আয় করার কথা যারা বলে তাদের থেকে দূরে থাকুন।
পুরোদমে ফ্রিল্যান্সিং করবেন, তবে ৩ বছরের বেশি না, এর পর উদ্যোক্তা হবার চেষ্টা করবেন।
পরিশেষে
ফ্রিল্যান্স ব্যবসায় সাফল্যের মূল চাবিকাঠি দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও আত্মবিশ্বাস। আপনার দক্ষতার ওপর ভিত্তি করেই এগোবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। এখানে একদিকে যেমন আপনার কোনও বস নেই, তেমনই কাজ শিখিয়ে দেওয়ারও কেউ নেই। আপনাকে নিজেকেই পুরোটা শিখে নিতে হবে।
অতীতে মানুষ মূলতঃ অন্য একটি মূল চাকরি বা পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করত, এখনও অনেকেই তাই করেন। তবে মনে রাখতে হবে, আপনি আংশিক সময়ের ফ্রিল্যান্সিং করুন অথবা পূর্ণ সময়ের, আপনাকে ১০০ শতাংশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং অন্য যেকোনও কাজের মতোই সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
পাশাপাশি রাখতে হবে আত্মবিশ্বাস, যে আত্মবিশ্বাস প্রতিফলিত হবে আপনার কাজে ও গ্রাহকের সঙ্গে কথোপকথনে। আপনি নিজেই নিজের ওপর বিশ্বাস না রাখতে পারলে ক্রেতার আস্থা অর্জনও সম্ভব হবে না।
Thank Yours Information Is Rights
ReplyDeleteWclcome. Tnx your comment
ReplyDeletenice article!
ReplyDeletePost a Comment